জাহাঙ্গীর আলম,টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী হামলায় আহত আব্দুর রশিদ ১৮ দিন চিকিৎসার পর মৃত্যুবরণ করেছেন।

নিহত আব্দুর রশিদ(৩৬) আলীপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার(১৭ জুন) গভীর রাতে পুনরায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এলাকাবাসী জানায়, আলীপুর গ্রামের আব্দুর রশিদদের সাথে একটি জমি নিয়ে একই এলাকার মো. হালিম মিয়াদের বিরোধ চলছিল। জমির বিরোধীয় মামলায় আদালত আব্দুর রশিদদের পক্ষে রায় দেয়।

গত ৩১ মে (সোমবার) সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আদালতের রায়ের বিষয়টি উভয়পক্ষকে অনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে আসে। ওই দিনই বিকালে রায়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে মো. হালিম মিয়া, তার দুই ছেলে ইয়াকুব ও ইউসুব, ভাতিজা বাবু, সাজেদুল, সুরুজ, সোলাইমান, আবু বক্কর, শরিফুল সহ একদল লোক দা, বল্লম, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে আব্দুর রশিদের বাড়িতে হামলা চালায়।

এতে আব্দুর রশিদ সহ কয়েকজন আহত হন। আহতদের কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে আব্দুর রশিদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

দীর্ঘ ১৫ দিন হাসপাতালে থাকার পর জেলায় করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত ১৪ জুন বাড়িতে চিকিৎসা চালানোর জন্য তাকে ছুটি দেওয়া হয়।

গত বৃহস্পতিবার(১৭ জুন) রাতে তার ক্ষতস্থানে রক্তক্ষরণ হলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মেজভাই সাইদ হোসেন জানান, বিরোধীয় জমির মামলায় বিজ্ঞ আদালত তাদের পক্ষে রায় দেয়। ওই রায় মেনে নিতে না পেরে মো. হালিম মিয়া তার আত্মীয় ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে আব্দুর রশিদ সহ কয়েকজনকে আহত করে। তার ভাই আব্দুর রশিদকে যারা হত্যা করেছে তিনি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, ঘটনার দিনই(৩১ মে) আলীপুর গ্রামে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার পর পরই প্রধান আসামি মো. হালিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়। পরে মামলার ৮জন আসামি বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

আহত আব্দুর রশিদকে বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যাওয়ার বিষয়টি বিজ্ঞ আদালতকে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানানো হবে।